আমাদের দেশে তেলে ভাজা যত ধরনের নাস্তা প্রচলিত আছে তার মাঝে সিঙ্গারার কোন তুলনা হয় না। রাস্তার ধারের রেস্তঁরা গুলোতে সিঙ্গারা ভাজতে না ভাজতে কাস্টমারের পেটে উধাও। কিন্তু সেগুলো কতটুকু স্বাস্থ্য সম্মত? প্রিয়জনের স্বাস্থ্যের সাথে কোন কম্প্রোমাইজ করতে না চাইলে ঘরেই সিঙ্গারা তৈরী করুন। পদ্ধতি দেখে নিন রান্নাঘর ডট কম থেকে।
Servings: ৪-৫ জন
Prep Time: ১৫ মি.
Cook Time: ২৫ মি.
Total Time: ৪০ মি.
উপকরন
সিঙ্গারার পুরের জন্য
- আলু কিউব করে কাটা ২ কাপ
- ভাঁজা চিনা বাদাম ১ টেবিল চামচ
- পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ
- দারুচিনি ১ টুকরা
- এলাচ ১ টি
- পেঁয়াজ কুঁচি ১/৩ কাপ
- হলুদ ১/৮ চা চামচ
- আদার রস ১/৪ চা চামচ
- লবন পরিমানমত
- কাঁচামরিচ ফালি ২ টি
- ধনিয়া পাতা কুঁচি ২ টেবিল চামচ
- তেল ৩ চা চামচ
- পানি ১/৪ কাপ
- তেল ২ কাপ (সিঙ্গারা ভাজার জন্য)
সিঙ্গারার খামিরের জন্য
- ময়দা ১ ১/২ (দেড়) কাপ
- কালোজিরা ১/২ চা চামচ
- লবন ১/২ চা চামচ
- তেল ৩ টেবিল চামচ
- ঠাণ্ডা পানি ৬ টেবিল চামচ
নির্দেশনা
১। ময়দা, কালোজিরা, লবন, তেল এবং পানি মিশিয়ে শক্ত খামির তৈরি করে গরম ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন ঘণ্টাখানেক।
২। একটি প্যানে তেল নিয়ে চুলায় গরম হতে দিন। তেল গরম হলে একে একে দারুচিনি, এলাচ, পাঁচফোড়ন, পেঁয়াজ, কাচামরিচ এবং আদার রস দিন। সামান্য নেড়ে আলু, হলুদ ও লবন দিয়ে দিন।
৩। ভালোকরে নাড়ুন। সামান্য পানি দিন। আলু সিদ্ধ হতে যতটুকু পানি লাগবে ঠিক ততটুকু দিন। এরপর আলু সিদ্ধ হবার জন্য পাত্র অল্প সময়ের জন্য ঢেকে দিন। সবশেষে ভাঁজা চিনা বাদাম এবং ধনিয়া পাতা দিয়ে দিন।
৪। আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে চামচ দিয়ে আলুগুলো সামান্য ভেঙ্গে দিন তারপর চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।
৫। এবার ময়দার খামির ৬ ভাগ করুন। প্রতিটি ভাগ গোল করুন। এই ৬ ভাগ থেকে ১২ টি সিঙ্গারা তৈরি হবে। সিঙ্গারার সাইজ বড় রাখতে চাইলে খামির ৪ ভাগও করা যাবে,তাহলে ৮ টি সিঙ্গারা পাওয়া যাবে।
৬। এবার একটি ভাগ নিয়ে একটু লম্বাটে করে রুটি বেলুন। ছুরি দিয়ে রুটির মাঝখান বরাবর কেটে রুটি দু ভাগ করুন।
৭। একভাগ তুলে পানের খিলির মত ভাঁজ দিয়ে ভিতরে আলুর পুর দিন। এবার আঙুলে পানি নিয়ে সিঙ্গারার খোলা মুখে লাগিয়ে হাত দিয়ে চেপে মুখ বন্ধ করে দিন। এভাবে বাকি সিঙ্গারা তৈরি করে নিন।
৮। সবগুলো সিঙ্গারা তৈরি করা হয়ে গেলে চুলায় তেল গরম হতে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে চুলার আঁচ মাঝারির থেকে একটু কমিয়ে এরপর সিঙ্গারা একসাথে ৪/৫ টি দিয়ে দিন। আস্তে আস্তে অনেক সময় নিয়ে ভাজুন।সিঙ্গারা ভাজার পুরোটা সময় চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন।
৯। তেলে একসাথে গাদাগাদি করে সব সিঙ্গারা না দিয়ে তেলের পাত্রে স্বাভাবিকভাবে যতগুলো ধরে ঠিক ততগুলো দিয়ে ভাজুন। সিঙ্গারা বাদামি রং ধারন করলে এবং মচমচে হলে নামিয়ে নিন।
১০। গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার সিঙ্গারা।
নোট
** খামির তৈরী করার সময় অবশ্যই ঠান্ডা পানি ব্যাবহার করবেন। ঠান্ডা পানি ব্যাবহার করলে সিঙ্গারার শেল মচমচে থাকবে। **