নান খেতে চাইলে আমরা সাধারনত পরিবারের সবাইকে নিয়ে নামিদামি রেস্তরাঁয় ছুটি। নিজের ঘরে নান বা তন্দুর রুটি তৈরির কথা কেউ চিন্তাও করিনা। অথচ ঘরে বসেই খুব সহজে এ খাবারটি তৈরি করা যায়। রান্নাঘর ডট কমের আজকের আয়োজন সুস্বাদু বাটার নান তৈরির দুই রকম পদ্ধতি (ইস্ট সহ এবং ইস্ট ছাড়া)। তাহলে দেরি না করে দেখে নিন কিভাবে তৈরি করবেন রেসিপিটি।
Servings: ৪ জন
Prep Time: ১০ মি.
Cook Time: ২৫ মি.
Total Time: ৩৫ মি.
ইস্ট সহঃ
উপকরন
- ময়দা ১ কাপ
- ইস্ট ১ চা চামচ
- টক দই ২ টেবিল চামচ
- লবন ১/২ চা চামচ
- চিনি ১ চা চামচ
- তেল ১ টেবিল চামচ
- কুসুম গরম দুধ ১/৪ কাপ বা পরিমান বুঝে
বাটারের মিক্সারের জন্যঃ
- বাটার ২ টেবিল চামচ
- ধনিয়া পাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ
নির্দেশনা
১। প্রথমে একটি বাটিতে কুসুম গরম দুধ নিয়ে এর সাথে ইস্ট এবং চিনি মিশিয়ে ১০ মিনিটের মত ঢেকে রেখে দিন।
২। আলাদা পাত্রে ময়দার সাথে লবন, টক দই এবং তেল মিশিয়ে নিন। এখন এই ময়দার মধ্যে দুধ এবং ইস্টের মিশ্রণ ঢেলে দিয়ে ভালকরে মেখে রুটির খামিরের মত খামির তৈরি করুন। খামিরের গায়ে সামান্য তেল মেখে একটু গরম জায়গায় ঢেকে রেখে দিন এক থেকে দেড় ঘণ্টার জন্য।
৩। এক দেড় ঘণ্টা পর খামির নিয়ে ৪ ভাগ করুন। এখন প্রতিটি ভাগকে ভালকরে গোল করে মুড়ে আবার ১৫ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন।
৪। এবার গোল্লাগুলো অল্প অল্প ময়দা দিয়ে রুটির থেকে একটু মোটা করে বেলে নিন। চুলায় প্যান গরম হতে দিন। প্যান গরম হয়ে গেলে চুলার আঁচ মাঝারি থেকে সামান্য একটু বেশি তাপে রাখুন।
৫। একটি বাটিতে ১ কাপ পানি নিয়ে পানিতে ১/২ চা চামচ লবন মিশিয়ে রাখুন। এখন এই পানি অল্প করে হাতে নিয়ে প্যানে ছিটিয়ে দিন। রুটির একপাশেও এই পানি সামান্য লাগিয়ে নিন। এখন প্যানের পানি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে রুটির যে পাশে পানি লাগানো হয়েছে সেই পাশ প্যানের উপর দিন।
৬। রুটি ফু্লে উঠতে শুরু করলে রুটি সহ প্যান উল্টিয়ে চুলার উপর ধরুন। ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই রুটি পড়বেনা। লবন পানি দেবার কারনে রুটি প্যানের সাথে লেগে থাকবে। দেখবেন রুটি আরও ফুলছে। রুটি একেবারে চুলার সাথে লাগিয়ে রাখবেন না তাহলে চুলায় লেগে বেশি পুড়ে যাবে। রুটি একটু ব্রাউন কালার হওয়া শুরু হলে তাওয়া সোজা করে নিয়ে রুটি তুলে প্লেটে রাখুন।
৭। এখন আলাদা পাত্রে বাটার গলিয়ে নিয়ে এর সাথে ধনিয়া পাতা কুঁচি মিশিয়ে নিন। নানগুলো তৈরি হয়ে গেলে গরম গরম নানের উপর বাটার ভালকরে ব্রাশ করে দিন। তৈরি সুস্বাদু বাটার নান। পরিবেশন করুন শিক কাবাব বা তান্দুরি চিকেনের সাথে।
ইস্ট ছাড়াঃ
উপকরন
- ময়দা ১ কাপ
- টক দই ১/৪ কাপ
- লবন ১/২ চা চামচ
- চিনি ১ চা চামচ
- বেকিং পাউডার ১/২ চা চামচ
- তেল ১ টেবিল চামচ
- কুসুম গরম দুধ ২ ১/২ টেবিল চামচ বা পরিমান বুঝে
বাটারের মিক্সারের জন্যঃ
- বাটার ২ টেবিল চামচ
- ধনিয়া পাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ
নির্দেশনা
১। প্রথমে ময়দা, চিনি, লবন এবং বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে নিন। এরপর এই শুকনা উপকরণের সাথে টকদই এবং তেল ভালকরে মিশিয়ে নিন।
২। এখন এই মিশ্রণে অল্প অল্প কুসুম গরম দুধ মিশিয়ে রুটির খামির তৈরি করে নিন। খামির বেশি শক্ত হবেনা।
৩। খামিরের গায়ে সামান্য তেল মেখে ঢেকে রেখে দিন ২-৩ ঘণ্টার জন্য। ২-৩ ঘণ্টা পর খামির নিয়ে ৪ ভাগ করুন। এখন প্রতিটি ভাগকে গোল করে মুড়ে নিন।
৪। এবার একটা গোল্লা নিয়ে রুটি বেলার পিড়িতে সামান্য ময়দা ছিটিয়ে দিয়ে রুটির থেকে হালকা একটু মোটা করে বেলে নিন। চুলায় প্যান গরম হতে দিন। প্যান গরম হয়ে গেলে চুলার আঁচ মাঝারি থেকে সামান্য একটু বেশি তাপে রাখুন।
৫। একটি বাটিতে দেড় কাপ পানি নিয়ে পানিতে ১/২ চা চামচ লবন মিশিয়ে রাখুন। এখন এই পানি অল্প করে হাতে নিয়ে প্যানে ছিটিয়ে দিন। রুটির একপাশেও এই পানি সামান্য লাগিয়ে নিন। এখন প্যানের পানি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে রুটির যে পাশে পানি লাগানো হয়েছে সেই পাশ প্যানের উপর দিন।
৬। রুটি ফু্লে উঠতে শুরু করলে রুটি সহ প্যান উল্টিয়ে চুলার উপর ধরুন। ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই রুটি পড়বেনা। লবন পানি দেবার কারনে রুটি প্যানের সাথে লেগে থাকবে। দেখবেন রুটি আরও ফুলছে। রুটি একেবারে চুলার সাথে লাগিয়ে রাখবেন না তাহলে চুলায় লেগে বেশি পুড়ে যাবে। রুটি একটু ব্রাউন কালার হওয়া শুরু হলে তাওয়া সোজা করে নিয়ে রুটি প্লেটে তুলে রাখুন।
৭। এখন আলাদা পাত্রে বাটার গলিয়ে নিয়ে এর সাথে ধনিয়া পাতা কুঁচি মিশিয়ে নিন। নানগুলো তৈরি হয়ে গেলে গরম গরম নানের উপর বাটার ভালকরে ব্রাশ করে দিন। তৈরি বাটার নান।পরিবেশন করুন শিক কাবাব বা তান্দুরি চিকেনের সাথে।