পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রান্নাঘর ডট কম এর আজকের আয়োজন মিষ্টি কিছু আইটেম। ইফতারিতে বিভিন্ন আইটেমের পাশাপাশি একটু ভিন্নতা আনতে ডেজার্ট যেন না থাকলেই নয়। তাহলে দেরি না করে দেখে নিন ভিন্নধর্মী রেসিপিগুলো।
ফালুদা
উপকরন
- সাবুদানা ৪ টেবিল চামচ
- ভেনিলা এসেন্স ১/২ চা চামচ
- দুধ ১ ১/২ কাপ
- কনডেন্সড মিল্ক ২ টেবিল চামচ বা স্বাদমত
- জেলো ২ কালারের ২ প্যাকেট
- নুডলস ১/৪ কাপ
- বরফ কুঁচি ২ টেবিল চামচ
- ড্রাই ফ্রুটস
- আইসক্রিম ২ রকম (ভেনিলা+ম্যাংগো ফ্লেভার)
নির্দেশনা
১। প্রথমে সাবুদানা ধুয়ে আধা ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি ছেঁকে ১ ১/২ কাপ পানিতে সাবুদানা নিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। এর মধ্যে ভেনিলা এসেন্স দিন। চুলার আঁচ মাঝারি রেখে সাবুদানা ঘন ঘন নেড়ে সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
২। সাবুদানা সিদ্ধ হয়ে এর আকার দ্বিগুণ হয়ে গেলে পাত্র চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন।
৩। নুডলস সিদ্ধ করে বরফ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। জেলো প্যাকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি করে ফ্রিজে জমতে রেখে দিন।
৪। দুধ এবং কনডেন্সড মিল্ক ভালকরে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিয়ে একেবারে ঘন ক্ষীরসা তৈরি করে নিন। কনডেন্সড মিল্ক নিজের স্বাদমত বাড়িয়ে কমিয়ে নিতে পারবেন।
৫। এবার লম্বা কাঁচের গ্লাসে ফালুদা সাজিয়ে নিন। গ্লাসে প্রথমে নুডলস এরপর পর্যায়ক্রমে জেলো, সাবুদানা, ক্ষীরসা, বরফ কুঁচি, ড্রাই ফ্রুটস এবং সবার উপর ইচ্ছামত আইসক্রিম দিয়ে ফালুদা সাজিয়ে নিন। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন মজাদার ফালুদা।
ভ্যানিলা আইসক্রিম
উপকরন
- হেভি হুইপিং ক্রিম ১ কাপ
- ঘন দুধ ১ কাপ
- ডিমের কুসুম ২ টি
- কনডেন্সড মিল্ক ৫ টেবিল চামচ
- ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ
নির্দেশনা
১। প্রথমে ঘন দুধের সাথে ডিমের কুসুম ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণ চুলায় মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে মিশ্রণটি একেবারে ঘন করে নিন। এখন এই কুসুম এবং দুধের মিশ্রণ ফ্রিজে রেখে পুরোপুরি ঠাণ্ডা করে নিন।
২। এখন একটি বোলে হেভি হুইপিং ক্রিম নিন। একটি প্লেটে বরফ টুকরো রেখে এর উপর বোল রাখুন যাতে বোলটা ঠাণ্ডা থাকে। ইলেকট্রিক বিটারের হাই পাওয়ারে ক্রিম ৩ মিনিট বিট করুন। ৩ মিনিটেই ক্রিম ঘন হয়ে যাবে। না হলে আরও ১ মিনিট বিট করুন।
৩। এখন এই ঘন ক্রিমের সাথে একে একে তৈরি করে রাখা কুসুম দুধের মিশ্রণ, ভ্যানিলা এসেন্স এবং কনডেন্সড মিল্ক চামচের সাহায্যে হালকাভাবে মিশিয়ে নিন। এবার আর বিট করবেন না।
৪। এবার এই মিশ্রণটি বক্সে ঢেলে ঢাকনা দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন ২ ঘণ্টার জন্য। ২ ঘণ্টা পর বক্স বের করে চামচ দিয়ে আইসক্রিম ভাল করে নেড়ে বক্স আবার ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর ১ ১/২ ঘণ্টা পর আবার বক্স বের করে আইসক্রিম আবার নেড়ে দিন। এরপর আবার ১ ১/২ ঘণ্টা পর আইসক্রিম নেড়ে দিন।
৫। মোটামুটি ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে আইসক্রিম তৈরি হয়ে যাবে।
নোট
*** হুইপিং ক্রিম বিট করার সময় ক্রিম একেবারে ঠাণ্ডা থাকতে হবে। এবং ক্রিম বিট করার সময় অতিরিক্ত বিট করবেন না। অতিরিক্ত বিট করলে ক্রিম বাটারে পরিনত হয়ে যাবে। ***
*** আইসক্রিম ফ্রিজে রেখে ২ ঘণ্টা এবং ১ ১/২ ঘণ্টা পর আইসক্রিম নেড়ে দেবার এই পার্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা বাদ দেয়া যাবেনা। এটা বাদ দিলে আইসক্রিমের টেক্সচারই আসবেনা। ***
ম্যাংগো আইসক্রিম
উপকরন
- হেভি হুইপিং ক্রিম ১ কাপ
- ঘন দুধ ১ কাপ
- ডিমের কুসুম ২ টি
- কনডেন্সড মিল্ক ৫ টেবিল চামচ বা স্বাদমত
- ম্যাংগো পিউরি ১ কাপ
নির্দেশনা
১। প্রথমে ঘন দুধের সাথে ডিমের কুসুম ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণ চুলায় মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে একেবারে ঘন করে নিন। এখন এই কুসুম এবং দুধের ঘন মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে পুরোপুরি ঠাণ্ডা করে নিন।
২। মিষ্টি পাকা দেখে আম নিন। আম টুকরো করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৩। এখন একটি বোলে হেভি হুইপিং ক্রিম নিন। একটি প্লেটে বরফ টুকরো রেখে এর উপর বোল রাখুন যাতে বোলটা ঠাণ্ডা থাকে। ইলেকট্রিক বিটারের হাই পাওয়ারে ক্রিম ৩ মিনিট বিট করুন। ৩ মিনিটেই ক্রিম ঘন হয়ে যাবে। না হলে আরও ১ মিনিট বিট করুন।
৪। এখন এই ঘন ক্রিমের সাথে একে একে তৈরি করে রাখা কুসুম দুধের মিশ্রণ, ম্যাংগো পিউরি এবং কনডেন্সড মিল্ক চামচের সাহায্যে হালকাভাবে মিশিয়ে নিন। এবার আর বিট করতে হবে না চামচের সাহায্যে সব একসাথে মিশিয়ে নিলেই হবে।
৫। এবার এই মিশ্রণটি বক্সে ঢেলে ঢাকনা দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন ২ ঘণ্টার জন্য। ২ ঘণ্টা পর বক্স বের করে চামচ দিয়ে আইসক্রিম ভাল করে নেড়ে বক্স আবার ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর ১ ১/২ ঘণ্টা পর আবার বক্স বের করে আইসক্রিম আবার নেড়ে দিন। এরপর আবার ১ ১/২ ঘণ্টা পর আইসক্রিম নেড়ে দিন। সব মিলিয়ে মোট তিনবার আইসক্রিম ফ্রিজ থেকে বের করে নেড়ে দিতে হবে।
৬। মোটামুটি ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে আইসক্রিম তৈরি হয়ে যাবে। ছোট ছোট আমের টুকরার সাথে পরিবেশন করুন মজাদার ম্যাংগো আইসক্রিম।
নোট
*** ক্রিম বিট করার সময় ক্রিম একেবারে ঠাণ্ডা থাকতে হবে। এবং ক্রিম বিট করার সময় অতিরিক্ত বিট করবেন না। অতিরিক্ত বিট করলে ক্রিম বাটারে পরিনত হয়ে যাবে। ***
*** আইসক্রিম ফ্রিজে রেখে ২ ঘণ্টা এবং ১ ১/২ ঘণ্টা পর আইসক্রিম নেড়ে দেবার এই পার্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা বাদ দেয়া যাবেনা। এটা বাদ দিলে আইসক্রিমের টেক্সচারই আসবেনা। ***
*** ক্রিমের সাথে ম্যাংগো পিউরি মেশানোর পর কালার একটু হালকা হয়ে আসে। চাইলে সামান্য ফুড কালার যোগ করতে পারবেন। আম মিষ্টি দেখে নেয়ার চেষ্টা করবেন। আমে মিষ্টি কম হলে কনডেন্সড মিল্কের পরিমান একটু বাড়িয়ে দিলেই হবে। ***
ফ্রুট কাস্টার্ড
উপকরন
- ইভাপোরেটেড মিল্ক ১ ক্যান (৩৫৪ মিলি)
- হ্যাভি ক্রিম ১/২ কাপ
- চিনি ৩ টেবিল চামচ বা স্বাদমত
- কর্ণফ্লাওয়ার ১ ১/২ টেবিল চামচ
- ডিমের কুসুম ১ টি
- ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ
- ইচ্ছামত ফ্রুট (স্ট্রবেরি, কলা, আপেল, আঙ্গুর, আম, বেদানা)
- জেলো ১/২ কাপ (২ ফ্লেভারের)
নির্দেশনা
১। প্রথমে প্যাকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলো তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিন সেট হবার জন্য।
২। এরপর একটি পাত্রে ইভাপোরেটেড মিল্ক, হ্যাভি ক্রিম, চিনি, কর্ণফ্লাওয়ার, ভ্যানিলা এসেন্স এবং ডিমের কুসুম নিয়ে সব একসাথে ভালকরে মিশিয়ে নিন।
৩। পাত্রটি চুলায় বসিয়ে দিয়ে মাঝারী আঁচে জ্বাল দিন। মিশ্রণটি ঘন ঘন নাড়ুন যাতে দুধ পাত্রের নিচে না লেগে যায়।
৪। জ্বাল দিতে দিতে দুধের মিশ্রণ ঘন হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়ে পাত্র চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
৫। এখন রুম টেম্পারেচারে দুধ ঠাণ্ডা করে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন ২ ঘণ্টা।
৬। এরপর পছন্দসই ফল এবং জেলো কেটে কাস্টার্ডের সাথে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
নোট
** ইভাপোরেটেড মিল্ক না থাকলে আধা লিটার দুধ ঘন করে নিলেই হবে। **
** ডিমের কুসুম, দুধ, ক্রিম, কর্ণফ্লাওয়ার এগুলো সব প্রথমেই ঠাণ্ডা অবস্থায় মিশিয়ে নিবেন। এরপর চুলায় জ্বালে বসিয়ে দিবেন। **
** ফল একবারে শেষ মুহূর্তে কেটে মিশাবেন। বেশি আগে মিশালে ফল থেকে পানি বের হয়ে কাস্টার্ড পাতলা হয়ে যাবে। **
** রেডিমেড কাস্টার্ড পাউডার দিয়ে বানালে ডিমের কুসুম, কর্ণফ্লাওয়ার এবং ভ্যানিলা এসেন্স বাদ দিবেন**
শির খুরমা
উপকরন
- সেমাই ১/২ কাপ
- ইভাপোরেটেড মিল্ক ১ ক্যান (৩৫৪ মিলি)
- হ্যাভি ক্রিম ১/২ কাপ
- চিনি ৩ টেবিল চামচ
- খেজুর ৭-৮ টি (চিকন টুকরো করে নেয়া)
- কিশমিশ ২ টেবিল চামচ
- কাজু, পেস্তা, কাঠ বাদাম প্রত্যেকটি ১০ টি করে (চিকন টুকরো করে নেয়া)
- এলাচ গুঁড়া ১ চিমটি
- ঘি ১ ১/২ টেবিল চামচ
- কিছু শুকনা গোলাপ পাপড়ি, বাদাম (সাজানোর জন্য)
নির্দেশনা
১। প্যানে ঘি গরম দিন। ঘি গরম হয়ে গেলে প্রথমে কিশমিশ ভেঁজে নিন। কিশমিশ তুলে রেখে এই ঘিতে খেজুর ভেঁজে প্লেটে তুলে নিন।
২। সব শেষে বাদামগুলো ভেঁজে তুলে নিন। এখন বাকি ঘিয়ের মধ্যে অল্প আঁচে সেমাই ভেঁজে নিন। ভাঁজতে ভাঁজতে সেমাইয়ের রঙ লালচে হয়ে গেলে এর মধ্যে ইভাপোরেটেড মিল্ক বা ঘন দুধ দিয়ে দিন।
৩। দুধ ফুটে উঠলে দুধের মধ্যে ভেঁজে রাখা বাদাম, খেজুর এবং কিশমিশ দিয়ে দিন। এরপর চিনি এবং হ্যাভি ক্রিম দিয়ে সব একসাথে ভালকরে নেড়ে দিন।
৪। সেমাই ঘন হয়ে গেলে এর মধ্যে ১ চিমটি এলাচ গুঁড়া দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।
৫। এখন সেমাই ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। উপরে বাদাম কুঁচি, খেজুর এবং শুকনো গোলাপ পাপড়ি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা মজাদার শির খুরমা।
ম্যাংগো মুজ
উপকরন
- পাকা আমের পিউরি ৩/৪ কাপ
- চিনি ৩ টেবিল চামচ
- জেলাটিন ১ ১/২ চা চামচ
- পানি ২ টেবিল চামচ
- হ্যাভি হুইপিং ক্রিম ১ কাপ
সাজানোর জন্য
- হ্যাভি হুইপিং ক্রিম সামান্য
- সেমি সুইট চকোলেট চিপস ২ টেবিল চামচ
নির্দেশনা
১। প্রথমে জেলাটিনের সাথে ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে রেখে দিন। অল্প সময়ের মধ্যেই জেলাটিন নরম হয়ে যাবে।
২। এখন আলাদা একটি পাত্রে পাকা আমের পিউরি এবং চিনি নিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। চিনি গলে হালকা বলক আসা শুরু হলে এর মধ্যে জেলাটিন ঢেলে দিন। সব একসাথে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে দিন।
৩। আমের পিউরিতে হালকা বলক এসে গেলে পাত্র চুলা থেকে নামিয়ে একেবারে ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত রেখে দিন।
৪। ম্যাংগো পিউরি পুরোপুরি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে হ্যাভি হুইপিং ক্রিম রেডি করা শুরু করুন।
৫। একটি বোলে ফ্রিজের ঠাণ্ডা হ্যাভি হুইপিং ক্রিম নিয়ে ইলেকট্রিক বিটার দিয়ে ফোমের মত তৈরি করে নিন।
৬। ফোম তৈরি হয়ে গেলে কাঠি বা স্পাচুলা দিয়ে হালকা হাতে ম্যাংগো পিউরি এবং ফোম একসাথে মিশিয়ে নিন। তৈরি ম্যাংগো মুজ।
৭। এখন ম্যাংগো মুজ একটি পাইপিং ব্যাগে ভরে ছোট ছোট গ্লাস বা বাটি ফিলআপ করে সেট হবার জন্য ২-৩ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন।
৮। ইচ্ছা করলে এভাবেই পরিবেশন করতে পারেন। ডেকোরেশনটা সম্পূর্ণ নিজের উপর। ডেকোরেশনের জন্য সেমি সুইট চকোলেট ওভেনে বা ডাবল বয়লারে গলিয়ে নিয়ে পার্চমেন্ট পেপারে ইচ্ছা মত বসিয়ে ডিজাইন করে নিন। এরপর আধা ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন সেট হবার জন্য। এরপর আলাদা একটি বোলে সামান্য হ্যাভি হুইপিং ক্রিম ফোম করে নিন।
৯। ম্যাংগো মুজ সেট হয়ে গেলে ফ্রিজ থেকে বের করে উপরে হ্যাভি হুইপিং ক্রিম এবং ডিজাইন করা সেমি সুইট চকোলেট দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
নোট
*** হ্যাভি হুইপিং ক্রিম অতিরিক্ত বিট করবেননা। অতিরিক্ত বিট করলে এটি বাটারে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। ফোম তৈরি হয়ে গেলেই বিট করা বন্ধ করে দিবেন। ফোম পারফেক্ট হয়েছে কিনা সেটা বুঝতে কাঠের হাতা বা স্পাচুলায় ক্রিম তুলে নেয়ার পর যদি দেখেন ক্রিম নিচে পড়ে যাচ্ছেনা স্পাচুলায় আটকে আছে তাহলে বুঝবেন আর বিট করতে হবেনা। ***
*** চিনি স্বাদমত বাড়িয়ে কমিয়ে নিতে পারবেন। ***
*** ম্যাংগো পিউরি পুরোপুরি ঠাণ্ডা অবস্থায় হুইপিং ক্রিম মিশাবেন। পিউরি একটুও গরম থাকা যাবেনা। ***
কোকোনাট পুডিং
উপকরন
সাদা লেয়ারের জন্য
- নারিকেলের দুধ ৩/৪ কাপ
- ডাবের পানি ৩/৪ কাপ
- চিনি ২ টেবিল চামচ
- লবন ১ চিমটি
- আগার আগার পাউডার ১/২ টেবিল চামচ
ট্রান্সপারেন্ট লেয়ারের জন্য
- ডাবের পানি ১ কাপ
- চিনি ১ টেবিল চামচ
- লবন ১ চিমটি
- আগার আগার পাউডার ১/২ টেবিল চামচ
নির্দেশনা
১। সাদা লেয়ারের জন্য প্রথমে পাত্রে নারিকেলের দুধ, ডাবের পানি, চিনি, লবন এবং আগার আগার পাউডার নিয়ে সব ভালকরে নেড়ে মিশিয়ে দিন।
২। এরপর মিশ্রণটি চুলায় মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন, ঘন ঘন নাড়ুন। এখন চিনি এবং আগার আগার পানিতে ভালকরে মিশে মিশ্রণটিতে একবার বলক উঠলেই চুলা থেকে নামিয়ে পাত্রটি ঢেকে রাখুন যাতে নারিকেল দুধের মিশ্রণটি কোনভাবে ঠাণ্ডা না হয়ে যায়।
৩। ট্রান্সপারেন্ট লেয়ারের জন্য আলাদা পাত্রে ডাবের পানি, চিনি, লবন এবং আগার আগার পাউডার নিয়ে সব ভালকরে নেড়ে মিশিয়ে দিন।
৪। এরপর মিশ্রণটি চুলায় মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। চিনি এবং আগার আগার পানিতে ভালকরে মিশে মিশ্রণটিতে একবার বলক উঠলেই চুলা থেকে নামিয়ে এই পাত্রটিও ঢেকে রাখুন যাতে মিশ্রণটি কোনভাবে ঠাণ্ডা না হয়ে যায়।
৫। এখন পুডিং এর লেয়ারিং শুরু করুন। যে কোন ধরনের চারকোনা বক্সে প্রথমে নারিকেলের দুধের যে সাদা মিশ্রণ রয়েছে সেটার ৩ ভাগের ১ ভাগ ঢালুন। এবার এই বক্সটি সাবধানে ফ্রিজে ৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
৬। ৫ মিনিট পর বক্সটি ফ্রিজ থেকে বের করে এর উপর ডাবের পানির মিশ্রণটি থেকে অর্ধেক সাবধানে ঢেলে দিন। আবার বক্সটি ফ্রিজে রাখুন ৭ মিনিটের জন্য। এর পর বক্সে আবার সাবধানে নারিকেলের দুধের মিশ্রণটির আরেকভাগ ঢালুন, আবার ফ্রিজে রেখে দিন ৫ মিনিটের জন্য।
৭। এভাবে একবার সাদা লেয়ার এরপর ট্রান্সপারেন্ট লেয়ার এভাবে ধারাবাহিক ভাবে লেয়ারগুলো তৈরি করে নিন।
৮। পুডিং সুন্দরভাবে সেট হয়ে গেলে ছুরি দিয়ে চারপাশ কেটে পছন্দসই আকারে টুকরো করে নিয়ে এরপর পরিবেশন করুন।
নোট
*** ডাবের পানির মিষ্টি অনুযায়ী চিনি বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারবেন। ***
*** সবসময় খেয়াল রাখবেন বক্সে ঢালার সময় মিশ্রণ দুটি যাতে গরম থাকে। কারন ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আগেই মিশ্রণগুলো জমে যাবে ফলে লেয়ারিং করতে গেলে ঠিকভাবে আর বক্সে ঢালা যাবেনা। একেক লেয়ার ঢালার পর পাত্র ঢেকে রাখবেন যাতে গরম না বের হতে পারে। তারপরও যদি শেষের দিকে এসে লিকুইড দুটি ঠাণ্ডা হয়ে জমে যাওয়া শুরু করে তবে চুলায় একটু গরম করে নিলেই হবে।***
*** নারিকেলের দুধের লেয়ার সেট হবার জন্য ফ্রিজে ৫ মিনিটের বেশি রাখবেননা। এবং ডাবের পানির যে ট্রান্সপারেন্ট লেয়ার হবে সেটা সেট হবার জন্য ফ্রিজে ৭ মিনিট রাখবেন, এর বেশি না। ***