নান বা তন্দুর রুটি খেতে চাইলে আমরা সাধারনত পরিবারের সবাইকে নিয়ে নামিদামি রেস্তরাঁয় ছুটি। নিজের ঘরে নান বা তন্দুর রুটি তৈরির কথা কেউ চিন্তাও করিনা। অথচ সামান্য টেকনিক খাটিয়ে ঘরে বসেই অসামান্য এ খাবারটি তৈরি করা যায়। রান্নাঘর ডট কম আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে তন্দুর রুটি তৈরির সেই টেকনিক।
Servings: ৩ জন
Prep Time: ১০ মি.
Cook Time: ২০ মি.
Total Time: ৩০ মি.
উপকরন
- ময়দা ২ কাপ
- লবন ১ চা চামচ
- তেল ২ টেবিল চামচ
- টক দই ২ টেবিল চামচ
- গুঁড়া দুধ ৪ চা চামচ
- ইস্ট ১ চা চামচ
- চিনি ১ চা চামচ
- কুসুম গরম পানি ১/২ কাপ
নির্দেশনা
১। প্রথমে একটি বাটিতে কুসুম গরম পানি নিয়ে এর সাথে ইস্ট এবং চিনি মিশিয়ে ৩০ মিনিটের মত ঢেকে রেখে দিন।
২। ময়দার সাথে লবন, গুঁড়া দুধ, টক দই এবং তেল শুকনা হাতে মিশিয়ে নিন। এখন পানি এবং ইস্টের মিশ্রণ ময়দার মধ্যে ঢেলে দিয়ে ভালকরে মেখে রুটির খামিরের মত খামির তৈরি করুন। খামিরের গায়ে সামান্য তেল মেখে একটু গরম জায়গায় ঢেকে রেখে দিন এক থেকে দেড় ঘণ্টার জন্য।
৩। এক দেড় ঘণ্টা পর খামির নিয়ে ৬ ভাগ করুন। এখন প্রতিটি ভাগকে ভালকরে গোল করে মুড়ে আবার ১৫ মিনিটের জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।
৪। এবার গোল্লাগুলো অল্প অল্প ময়দা দিয়ে রুটির থেকে একটু মোটা করে বেলে নিন। চুলায় প্যান গরম হতে দিন। প্যান গরম হয়ে গেলে চুলার আঁচ মাঝারি করে রাখুন।
৫। একটি বাটিতে দেড় কাপ পানি নিয়ে পানিতে ১ চা চামচ লবন মিশিয়ে রাখুন। এখন এই পানি অল্প করে হাতে নিয়ে প্যানে ছিটিয়ে দিন। রুটির একপাশেও এই পানি সামান্য লাগিয়ে নিন। এখন প্যানের পানি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে রুটির যে পাশে পানি লাগানো হয়েছে সেই পাশ প্যানের উপর দিন।
৬। রুটি ফু্লে উঠতে শুরু করলে রুটি সহ প্যান উল্টিয়ে চুলার উপর ধরুন। ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই রুটি পড়বেনা। লবন পানি দেবার কারনে রুটি প্যানের সাথে লেগে থাকবে। দেখবেন রুটি আরও ফুলছে। রুটি একেবারে চুলার সাথে লাগিয়ে রাখবেন না তাহলে চুলায় লেগে বেশি পুড়ে যাবে। রুটি একটু ব্রাউন কালার হওয়া শুরু হলে তাওয়া সোজা করে নিয়ে রুটি তুলে প্লেটে রাখুন।
৭। সব রুটি তৈরি হয়ে গেলে শিক কাবাব, তান্দুরি চিকেন বা মাংসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।
নোট
**সব ময়দার শোষণ ক্ষমতা সমান থাকেনা এজন্য পানি প্রয়োজনে বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারবেন। আর পানি যেন বেশি গরম না থাকে। তাহলে ইস্ট কাজ করবেনা। পানি এমন হবে যে পানিতে সহজে হাত ডুবিয়ে রাখা যাবে। সাধারানত ছোট বাচ্চাদের পানি যতটুকু গরম পর্যন্ত খাওয়ানো যায় ঠিক ততটুকু গরম হলেই ইস্ট মিশাতে হবে।**
**রুটি বানানোর পর রুটি সাথে সাথে প্যানে না দিয়ে রুটিগুলোকে ১ মিনিট রেস্ট দিয়ে তারপর প্যানে দিলে রুটি বেশ ফোলাফোলা হয়।**